ইংল্যান্ড জব সিকার ভিসা | বিস্তারিত গাইড 🇬🇧

ইংল্যান্ড জব সিকার ভিসা | বিস্তারিত গাইড 🇬🇧

ইংল্যান্ডে কাজ করতে ইচ্ছুক উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন প্রার্থীদের জন্য জব সিকার ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি ইংল্যান্ডে প্রবেশ করে ৬ মাস পর্যন্ত চাকরির সন্ধান করতে পারবেন। এটি মূলত বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন এবং উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা নিজেদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী চাকরির সুযোগ পেতে চান।

 

ভিসার উদ্দেশ্য এবং বৈশিষ্ট্য

  • মেয়াদ: ৬ মাস
  • উদ্দেশ্য: চাকরি খুঁজে ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে কর্মজীবন গড়ে তোলার সুযোগ।
  • পরিবার সহ আবেদন: এই ভিসায় প্রথম অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়; তবে চাকরি পাওয়ার পর তাদের জন্য স্পন্সর করা যেতে পারে।

more visa news: অস্ট্রিয়া জব সিকার ভিসা ২০২৫ | সম্পূর্ণ গাইড

যোগ্যতার মানদণ্ড 📋

ইংল্যান্ডে জব সিকার ভিসায় আবেদন করার জন্য কিছু বিশেষ যোগ্যতা পূরণ করতে হয়:

  1. শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি বা অন্যান্য স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্রহণযোগ্য।
  2. কাজের অভিজ্ঞতা: আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত দুই বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  3. ভাষার দক্ষতা: ইংরেজি ভাষায় উচ্চ দক্ষতা থাকতে হবে যা IELTS বা সমতুল্য পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করতে হবে।
  4. আর্থিক সামর্থ্য: ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন আর্থিক সামর্থ্যের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে দেখাতে হবে।
  5. স্বাস্থ্য বীমা: পুরো ভিসা মেয়াদে নিজেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বৈধ স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে।

 

আর্থিক প্রমাণ 💵

জব সিকার ভিসার জন্য আর্থিক সামর্থ্য দেখাতে হবে যাতে আপনি নিজেকে ইংল্যান্ডে অবস্থানের সময় সমর্থন করতে পারেন। সাধারণত মাসিক £১,২৭০ এর প্রমাণ দেখাতে হয়, যা ৬ মাসের জন্য মোট £৭,৬২০।

আর্থিক প্রমাণের জন্য দরকারি নথি:

  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সর্বশেষ ৩ থেকে ৬ মাস)
  • সঞ্চয়পত্র বা ফিক্সড ডিপোজিটের কপি (যদি থাকে)
  • আয়ের প্রমাণ যেমন, সম্পত্তির ভাড়া বা ব্যবসার আয়।

more visa news: সুইডেন জব সিকার ভিসা | সম্পূর্ণ গাইড 🇸🇪

প্রয়োজনীয় নথিপত্র 📑

ইংল্যান্ড জব সিকার ভিসার জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে:

  1. পাসপোর্ট: মিনিমাম ৯ মাস মেয়াদ আছে এরকম বৈধ পাসপোর্ট।
  2. ছবি: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  3. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র: স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির প্রমাণ।
  4. ভাষা দক্ষতার প্রমাণ: IELTS বা সমমানের পরীক্ষার স্কোর।
  5. কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ: রেফারেন্স লেটার বা প্রাসঙ্গিক দলিল।
  6. স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ: সম্পূর্ণ বীমা কাভারেজের নথি।
  7. আর্থিক প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য সম্পদের প্রমাণ।

 

আবেদন প্রক্রিয়া 📝

১. অনলাইন আবেদন: ইংল্যান্ডের সরকারি ভিসা ও ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন ফরম পূরণ করতে হবে।

২. নথিপত্র আপলোড: প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে হবে।

৩. আবেদন ফি: নির্ধারিত আবেদন ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।

৪. সাক্ষাৎকার: কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের স্থানীয় ইংলিশ এম্বাসিতে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হতে পারে।

আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া

৬ মাসের মধ্যে যদি চাকরি পাওয়া যায়, তবে এই ভিসাটি ওয়ার্ক পারমিট-এ রূপান্তর করা সম্ভব। তবে চাকরি না পেলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব নয়।

 

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • পরিবারের জন্য স্পন্সরশিপ: প্রার্থী চাকরি পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের স্পন্সর করতে পারেন।
  • চাকরির ধরন: ইংল্যান্ডের চাকরি বাজারের চাহিদা এবং নিজের দক্ষতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ পেশার জন্য আবেদন করা উচিত।

ইংল্যান্ড জব সিকার ভিসা আপনাকে ইংল্যান্ডে কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করতে একটি দুর্দান্ত সুযোগ প্রদান করে।

 

 

 

 

অফিসিয়াল আবেদনের লিংক

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top